Videos ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে? - স্কটিশ মৈত্রী

ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে?

ইউরোপ মহাদেশের উন্নত জীবনযাত্রা, উচ্চশিক্ষা এবং ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ সবাইকে টানে। বাংলাদেশ থেকে হাজারো মানুষ প্রতি বছর স্বপ্ন দেখে ইউরোপে পাড়ি জমানোর। কিন্তু যাওয়ার আগে জানা জরুরি—ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে? কোন দেশে ভিসা পাওয়া সহজ? কোনটায় কাজের সুযোগ বেশি? আজকের লেখায় আমরা বর্তমান সালের সর্বশেষ তথ্য দিয়ে এসবের উত্তর দেব। চলুন, বিস্তারিত দেখি।

ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে

ইউরোপের অধিকাংশ দেশ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভিসা ইস্যু করছে। বিশেষ করে শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে (২৭টি দেশ) একটা ভিসা পেলে সবখানে যাওয়া যায়। বাংলাদেশে ঢাকায় VFS গ্লোবালের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। নিচের টেবিলে বর্তমান সালের চালু ভিসা-প্রাপ্ত দেশের তালিকা (টুরিস্ট, স্টুডেন্ট, ওয়ার্ক ভিসা সহ):

দেশ/অঞ্চলভিসা প্রকারআবেদন স্থান (ঢাকায়)প্রক্রিয়া সময় (সপ্তাহ)
জার্মানিশেনজেন/ওয়ার্ক/স্টুডেন্টVFS গ্লোবাল২-৪
ফ্রান্সশেনজেন/টুরিস্ট/স্টুডেন্টVFS গ্লোবাল১৫-৩০ দিন
ইতালিশেনজেন/ওয়ার্ক/টুরিস্টVFS গ্লোবাল২-৪
নেদারল্যান্ডসশেনজেন/ওয়ার্কVFS গ্লোবাল২-৩
স্পেনশেনজেন/টুরিস্টVFS গ্লোবাল১৫-২৫ দিন
গ্রিসশেনজেন/স্টুডেন্টVFS গ্লোবাল২-৪
পর্তুগালওয়ার্ক/টুরিস্ট (নিজস্ব অফিস)পর্তুগাল দূতাবাস৩-৫
হাঙ্গেরিওয়ার্ক/স্টুডেন্টVFS গ্লোবাল২-৩
মাল্টাশেনজেন/টুরিস্টVFS গ্লোবাল১৫-৩০ দিন
পোল্যান্ডওয়ার্ক/শেনজেনVFS গ্লোবাল২-৪
রোমানিয়াওয়ার্ক/টুরিস্ট (নিজস্ব অফিস)রোমানিয়া দূতাবাস৩-৪
বুলগেরিয়াওয়ার্ক/টুরিস্ট (নিজস্ব অফিস)বুলগেরিয়া দূতাবাস২-৩
ক্রোয়েশিয়াওয়ার্ক/টুরিস্ট (নিজস্ব অফিস)ক্রোয়েশিয়া দূতাবাস৩-৫
বেলজিয়ামশেনজেন (সুইডেন এম্বাসি)সুইডেন দূতাবাস২-৪
ফিনল্যান্ডশেনজেন (সুইডেন এম্বাসি)সুইডেন দূতাবাস১৫-৩০ দিন

নোট: এই তালিকা শেনজেন (২৭ দেশ) এবং নন-শেনজেন ইউরোপীয় দেশের উপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা চালু, কিন্তু আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ, ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স এবং ইনভিটেশন লেটার লাগবে।

আরও জানতে পারেনঃ ওয়ার্ক পারমিট কোন দেশে ভালো

ইউরোপের ভিসা কেন চালু রয়েছে এবং কীভাবে আবেদন করবেন?

ইউরোপের দেশগুলোতে কর্মশক্তির ঘাটতি, পর্যটন বাড়ানো এবং শিক্ষার সুযোগের জন্য ভিসা চালু রাখা হয়েছে। বাংলাদেশীদের জন্য বর্তমান সালে ঢাকায় VFS গ্লোবাল বা দূতাবাসে আবেদন করা যায়। প্রক্রিয়া:

  1. অনলাইন ফর্ম ফিলআপ: দেশের অফিসিয়াল সাইটে (যেমন schengenvisainfo.com)।
  2. ডকুমেন্টস: পাসপোর্ট (৬ মাস ভ্যালিড), ব্যাংক স্টেটমেন্ট, টিকিট, হোটেল বুকিং, ইন্স্যুরেন্স।
  3. ফি: ৮০ ইউরো (শেনজেন), ওয়ার্ক ভিসা ১৫০-৩০০ ইউরো।
  4. ইন্টারভিউ: দূতাবাসে।

সহজ ভিসা দেশ: পর্তুগাল, হাঙ্গেরি, মাল্টা—কম রিজেকশন রেট।

ইউরোপের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ ভিসা ফি

শেনজেন ভিসার ফি সব দেশে একই, কিন্তু নন-শেনজেনে ভিন্ন:

  • সর্বনিম্ন: বুলগেরিয়া/রোমানিয়া (৬০ ইউরো)
  • সর্বোচ্চ: সুইডেন/ফিনল্যান্ড (৮০+ ইউরো + সার্ভিস চার্জ)

ফি ছাড়: শিশু (৬-১২ বছর) ৪০ ইউরো।

ইউরোপে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

ভিসা চালু দেশগুলোতে কাজের সুযোগ:

  1. জার্মানি/নেদারল্যান্ডস: আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং।
  2. ইতালি/পোল্যান্ড: কনস্ট্রাকশন, কৃষি, হসপিটালিটি।
  3. পর্তুগাল/হাঙ্গেরি: টুরিজম, ফ্যাক্টরি ওয়ার্ক।
  4. ফ্রান্স/স্পেন: ডেলিভারি, ক্লিনিং, রেস্তোরাঁ।

সবচেয়ে চাহিদা: জার্মানি (ওয়ার্ক ভিসা চালু)। বাংলাদেশীদের জন্য স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রাম চালু।

FAQs – সচরাচর জিজ্ঞাসা

ইউরোপের কোন দেশে মুসলিম বেশি?

কসোভো (৯৫%+ মুসলিম)।

ইউরোপের কোন দেশ সবচেয়ে ভালো?

ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি—পছন্দের উপর নির্ভর করে।

ইউরোপে যাওয়া কোন দেশে সহজ?

পর্তুগাল, হাঙ্গেরি, মাল্টা।

ইউরোপে কোন দেশে ইনকাম সবচেয়ে কম?

বুলগেরিয়া।

ইউরোপে কোন দেশে কাজের চাহিদা বেশি?

জার্মানি।

শেষ কথা

ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে—এর উত্তর হলো শেনজেনের ২৭ দেশ এবং নন-শেনজেন যেমন পর্তুগাল, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া। বর্তমান সালে ঢাকায় আবেদন সহজ হয়েছে। কিন্তু শুধু ভিসা নয়, আর্থিক প্রমাণ, ডকুমেন্টস এবং স্কিল গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিকল্পনা করুন—স্বপ্ন সত্যি হবে। আপনি কোন দেশের ভিসা চান? কমেন্টে জানান!