গ্রিনল্যান্ডকে পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ বলে অভিহিত করা হয়। ভৌগোলিক অবস্থান মেরু অঞ্চলে হওয়ার কারণে প্রতিদিন তিন ঘন্টার কম সূর্যের দেখা পাওয়া যায়। সেজন্য এখানে শীতকাল খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য থেকে যায়।সূর্যের আলো না পাওয়ায় গ্রিনল্যান্ড অন্ধকারময় ঠান্ডা একটি পরিবেশে আচ্ছন্ন থাকে। এই ঠান্ডা দ্বীপে লুকিয়ে থাকে তার অপরূপ সৌন্দর্য। শীতকাল থেকে মুক্তি পেয়ে যখন গ্রীনল্যান্ড গ্রীষ্মকালে চলে আসে তখন সূর্য তো ডুবতে দেখা যায় না বললেই হয়। তখন বরফে ঢাকা এই শহরটি অপরূপ সৌন্দর্য্যে ভরে উঠে। বেশিরভাগ নগরীসমূহ গড়ে উঠেছে পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে। গ্রিনল্যান্ডের সংসদ ব্যবস্থা মূলত সংসদীয় গনতন্ত্র। গ্রীনল্যান্ডের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ২ ধরনের ডেনীয়,গ্রিনল্যান্ডীয় ভাষা। গ্রিনল্যান্ডের কলিং কোড হলো ২৯৯। গ্রিনল্যান্ডের আয়তন বেশি হলেও গ্রিনল্যান্ড জনসংখ্যার দিক হতে ২১০ তম। গ্রিনল্যান্ডের ২০২০ সালের জনসংখ্যার সমীক্ষা অনুযায়ী জনসংখ্যা ৫৬,০৮১।
গ্রীনল্যান্ডের আয়তন কত
গ্রিনল্যান্ড এর আয়তন ২১,৬৬,০৮৬ বর্গকিলোমিটার বা ৮,৩৬,৩৩০। আয়তনের দিক হতে গ্রিনল্যান্ডকে পৃথিবীর বৃহওম দ্বীপ বলা হয়।
গ্রিনল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থিত
গ্রিনল্যান্ড উওর আমেরিকার অবস্থিত।
গ্রিনল্যান্ড কোন দেশের অংশ
ডেনমার্কের একটি স্বনিয়ন্ত্রিত অংশ (ডেনমার্ক) হিসেবে ডেনমার্ক স্বীকৃত। আটলান্টিক ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে ডেনমার্ক অবস্থিত বৃহৎ একটি দ্বীপ।
গ্রিনল্যান্ড এর রাজধানী
নুক হলো ডেনমার্কের রাজধানী।
গ্রিনল্যান্ড কোন মহাসাগরে অবস্থিত
গ্রিনল্যান্ড মূলত আটলান্টিক মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে বৃহৎ একটি দ্বীপ।
গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা কোন দেশের
গ্রিনল্যান্ড মূলত ডেনমার্কের স্ব-নিয়ন্ত্রিত একটি অংশ হিসেবে পরিচিত।
গ্রিনল্যান্ড এর ইতিহাস
পালেও ইস্কিমো গ্রুপের সময় থেকে ধারণা করা হয় যে তখন থেকে গ্রীনল্যান্ড বসবাস করার যোগ্য হিসেবে ধারণা করা হয়।তবে যদি গবেষণা থেকে সঠিক তথ্য অনুযায়ী বলা হয় তাহলে ২৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের সময় গ্রিনল্যান্ডে বসবাস শুরু হয় ও এই সময় ইনুইটরা এখানে আসেন ধারণা করা হয়। এরপর এ অঞ্চলে বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এসে বসবাস শুরু করেন। ধারণা করা হয় এরিক দ্যা রেড নামের এক ব্যক্তি এই দ্বীপের নাম করণ করেন। সেই হতে এই অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: গ্রীনল্যান্ড: যে দেশে মধ্যরাত্রিতেও সূর্যাস্ত হয় না
আইরিশদের দেশ আয়ারল্যান্ড: গানের সুরের মূর্ছনা মনকে বেশ নাড়া দেয়…
যে দেশে দুই বিয়ে না করলে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড!
শেষ কথা
আশা করি আপনি গ্রিনল্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমরা চেষ্টা করেছি গ্রিনল্যান্ড সম্পর্কে সঠিক তথ্য আপনাকে জানানোর। পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!