আমরা জানি বিশ্বে ৫টি মহাসাগর আছে। এগুলো হল আর্কটিক মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, এবং দক্ষিণ মহাসাগর। এই নিবন্ধে সে বিষয়েই আলোকপাত করা হল।
মহাসাগর হল পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ ও গভীর জলরাশির সমষ্টি। পৃথিবীর সূক্ষ্মতা এবং বৈশিষ্ট্যের দৃষ্টিতে মহাসাগরের গুরুত্ব অপরিসীম। নানা কারনে মহাসাগর সবচেয়ে বেশি সময় ব্যবহার হয়, কিন্তু আমরা সাধারণত এর গুরুত্ব সম্পর্কে চিন্তা করি না।
মহাসাগরের নাম
মহাসাগর পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নাম পেয়েছে। এই নামগুলি ভৌগলিক ও ঐতিহাসিক কারণে গঠিত হয়েছে। নিম্নলিখিত হলো পাঁচটি প্রধান মহাসাগরের নাম:
১. প্রশান্ত বা প্যাসিফিক মহাসাগর
প্যাসিফিক বা প্রশান্ত মহাসাগর পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ মহাসাগর। এটি পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে পরে। এটি অত্যন্ত গভীর এবং বিশাল মহাসাগর। প্যাসিফিক মহাসাগর প্রায় ১০০,০০০,০০০ বর্গ কিলোমিটারের পরিমাণে অবস্থিত।
২. আটলান্টিক মহাসাগর
আটলান্টিক মহাসাগর পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে পরে। এটি প্রায় ৮০,০০০,০০০ বর্গ কিলোমিটারের পরিমাণে অবস্থিত। আটলান্টিক মহাসাগর প্রায় ৭৯% জলমাস্তক এবং মহাসাগরের মধ্যের পানিতে বিশাল পানিসংগ্রহ করে।
৩. ভারত মহাসাগর
ভারত মহাসাগর বা হিন্দ মহাসাগর পৃথিবীর পূর্বদিকে পরে। এটি আফ্রিকা, এশিয়া, ওয়াটার ওয়ে, আফগানিস্তান ইত্যাদি দেশসমূহের মধ্যে অবস্থিত। হিন্দ মহাসাগর প্রায় ৭৩,৪৪০,০০০ বর্গ কিলোমিটারের পরিমাণে অবস্থিত।
৪. আর্কটিক মহাসাগর
আর্কটিক মহাসাগর পৃথিবীর উত্তর ধ্রুবপুঞ্জের চেয়েও উত্তরে পরে। এটি আইসল্যান্ড, গ্রীনল্যান্ড, নরওয়ে, রাশিয়া, কানাডা ইত্যাদি দেশসমূহের মধ্যে অবস্থিত। আর্কটিক মহাসাগরের পরিমাণ প্রায় ১৪,০৭০,০০০ বর্গ কিলোমিটার।
৫. দক্ষিণ মহাসাগর
দক্ষিণ মহাসাগর বা সাউথার্ন মহাসাগর পৃথিবীর দক্ষিণে পরে। এটি দক্ষিণ আমেরিকা, অন্তার্কটিকা, ওয়াটার ওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ইত্যাদি দেশসমূহের মধ্যে অবস্থিত। সাউথার্ন মহাসাগরের আয়তন প্রায় ২০,৮১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার।
মহাসাগরের পরিচিতি
মহাসাগর হলো পৃথিবীর সমুদ্রের প্রধান মার্গবিশেষ। এটি আবিষ্কৃত মার্গবিশেষ যা পৃথিবীর অবশ্যই নিদর্শন হিসাবে দেখা যায়। মহাসাগরগুলি মানবজাতিকে বৈসাদৃশ্যতা প্রদান করে, এটি পৃথিবীর মানুষের বাড়ি হিসাবে পরিচিত। মহাসাগর অবশ্যই একটি বড় জলমস্তক। এর মধ্যে প্রাণী, উদ্ভিদ, জলগড়ি, জলপায়ী এবং অন্যান্য বস্তু থাকে।
মহাসাগরের গুরুত্ব বিশেষভাবে জীবজন্তুদের জীবনের জন্য প্রমোট করে। এটি জীবজগতের সার্বিক অংশ, কারণ এটি প্রাণিদের জীবনের জন্য আবশ্যিক খাদ্য, জল এবং বিভিন্ন সম্পদের সরবরাহ করে। তাছাড়া, মহাসাগর আমাদের জন্য প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে, যার মধ্যে পানির পরিমাণ, জলমাত্রা এবং অক্সিজেনের পরিমাণ সংজ্ঞেয়। এছাড়াও, মহাসাগর অতিরিক্ত পরিমাণে জৈববৈচিত্রের সংগ্রহস্থল হিসাবে কাজ করে।
মহাসাগরের বিভিন্ন ধরণ
মহাসাগর বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। নিম্নলিখিত ধরণগুলি অন্তর্ভুক্ত করে:
প্রাথমিক মহাসাগর
প্রাথমিক মহাসাগর হলো পৃথিবীর মূল সাগর। এই ধরণের মহাসাগর মাঝে থাকলেও সামান্য আলোক প্রবাহ থাকে না। এগুলি সাধারণত অতিশয় গভীর এবং প্রাণী ছাড়া থাকে। উদাহরণস্বরূপ, পৃথিবীর মধ্যবর্তী এবং উত্তর আমেরিকার মধ্যে থাকা আটলান্টিক মহাসাগর একটি প্রাথমিক মহাসাগর।
দ্বৈত মহাসাগর
দ্বৈত মহাসাগর হলো পৃথিবীর দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে থাকা মহাসাগর। উদাহরণস্বরূপ, উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে থাকা প্যাসিফিক মহাসাগর একটি দ্বৈত মহাসাগর। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ মহাসাগর।
প্রাদেশিক মহাসাগর
প্রাদেশিক মহাসাগর হলো পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা মহাসাগর। এগুলি সাধারণত অতি ক্ষুদ্র এবং সংখ্যার দৃষ্টিতে বেশি। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের পশ্চিমে থাকা আরব সাগর একটি প্রাদেশিক মহাসাগর।
সীমান্ত মহাসাগর
সীমান্ত মহাসাগর হলো পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিমে থাকা মহাসাগরের আপাততার স্থানাংক। এগুলি সাধারণত সীমানাধীন এবং অতি দুর্বল। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের পূর্ব ও পশ্চিমে থাকা বায়ুসেনা মহাসাগর একটি সীমান্ত মহাসাগর।
পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ মহাসাগর
পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ মহাসাগর হলো প্যাসিফিক মহাসাগর। এটি পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে পরে। এটি প্রায় ১০০,০০০,০০০ বর্গ কিলোমিটারের পরিমাণে একটি বিশাল মহাসাগর। এটি বিশ্বের অতিশয় গভীর জলমস্তক এবং অতিরিক্ত জল সংগ্রহ করে।
মহাসাগরের সমস্যা ও সংরক্ষণ
মহাসাগরের সংরক্ষণ এবং সমস্যা বিষয়টি অনেকটা অবলম্বনশীল হয়ে দাঁড়ায়। জল দূষণ, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, বিশ্বজল প্রতিবন্ধী অভিযান, জলযাত্রা, ওয়াটার স্কার্সিটি, জলবায়ু পরিবর্তন, মহাসাগরের নৈমিত্তিক আপাততা, কর্নার পাইল, উষ্ণতার বৃদ্ধি এবং কমলা জলবায়ু সংক্রমণ এই মহাসাগরের মধ্যে সামান্য কিছু সমস্যা এবং ত্রাণ স্থানাংক তৈরি করে। এগুলি মহাসাগরের বায়ুমণ্ডল, পানিতে মাত্রা এবং সামগ্রিক জীবন্ত বিশ্বে প্রভাব ফেলে।
মহাসাগরের উপকারিতা
মহাসাগর মানবজনিসংখ্যা এবং প্রকৃতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সরবরাহ করে। নিম্নলিখিত উপকারিতা বিবেচনা করা যাক:
খাদ্যের সরবরাহ
মহাসাগর পৃথিবীর বৃহত্তম খাদ্য সরবরাহকারী। এটি আনুমানিক মধ্যে ৭০% প্রাণিসমূহের প্রাণনীতির উপকারিতা সরবরাহ করে। বিভিন্ন ধরণের মাছ, গরু, চিংড়ি, মুখোশ, গরুর মাংস, সমুদ্রের বিভিন্ন সম্পদের মধ্যে মহাসাগরের খাদ্যসম্পদ অনেকগুলি রয়েছে।
বিপণন এবং বাণিজ্য
মহাসাগর বিভিন্ন পণ্যের বিপণন এবং বাণিজ্য জনিত স্থান হিসাবে কাজ করে। বিভিন্ন ধরণের মাছ, চিংড়ি, মাছের তেল, বাংলাদেশের পাম্বার, সিলিকন, কবল ইত্যাদি পণ্য মহাসাগর হতে আনা হয় এবং এদের উত্পাদনকারী দেশে পাঠানো হয়। এছাড়াও মহাসাগর ট্রান্সপোর্টেশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ
মহাসাগর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি অস্থায়ী ও স্থায়ী বাসস্থান হিসাবে বিভিন্ন প্রাণী জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। প্রাণিসমূহ, গরু, চিংড়ি, পাম্বার, নেখেড়ে প্রভৃতি মহাসাগরে অধিকাংশ জীব নিবাসস্থল।
আরও পড়ুন: গ্লাসগো: মাছ ধরার গ্রাম থেকে যেভাবে সমৃদ্ধ শহর
মহাসাগরের গুরুত্ব
মহাসাগর মানব সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রাকৃতিক সম্পদ এবং পরিবেশ সংরক্ষণের দৃষ্টিকোণ থেকে অপূর্ণতা বোধ করে। মহাসাগরে আপনারা বিভিন্ন প্রকারের সম্পদ খুঁজে পাবেন, যেমন পানির খাদ্যসমূহ, খনিজ, মাছ ইত্যাদি। এছাড়াও মহাসাগর পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্যও অপূর্ণতা থাকলে মানব জীবন এবং প্রাণিসমূহের জন্য ধৈর্য্য করতে হয়।
মহাসাগরের মাধ্যমে আমরা আধুনিক পরিবহন ও বাণিজ্য সংক্রান্ত বড় অংশ সমান্তরালে করি। বিশ্বের বৃহৎ অংশ দেশের ট্রেড ও অর্থনীতি মহাসাগর পরিবহন নির্ভর করে। তাছাড়াও মহাসাগরের মাধ্যমে পর্যটন ও নৌ-বন্দর প্রসারণ হয়। এছাড়াও মহাসাগর আমাদের পরিবেশের জন্য আধুনিক জীবনযাপনের অস্তিত্বও প্রশ্নবাদ্য করে। তাই মহাসাগরের পরিবেশের সংরক্ষণ এবং সুরক্ষার জন্য নিয়ম-নীতি সংশোধনে নগদ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।