বীণা একটি প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র। এটি বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে জনপ্রিয় এছাড়া বাংলাদেশে কিছু কিছু স্থানে আমরা বীণা দেখতে পাই। প্রাচীনকালে এ সকল বাদ্যযন্ত্র নানারকম বৈচিত্রের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছিল। বর্তমান আধুনিক যুগে এসেও সংগীত এর জন্য বীণার ব্যবহার জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
বীণার তার কে কি বলে
বীণার ক্ষেত্রে বলা যায় যে, বীণার একটি ফাঁপা কাঠদন্ড (লাঠি) র দুইপাশে দুইটি অংশ ফাপা অংশ থাকে যা দেখতে লাউয়ের ন্যায় হয়ে থাকে। এই বীণার কাঠের উপর রয়েছে কিছু কাঠের টুকরা। এই টুকরাকে আড়া বলে। এটি একটি নিদিষ্ট দূরুত্বে নিদিষ্ট কাজ অনুযায়ী লাগানো থাকে। এই বীণাতে ৭টি তার ব্যবহার করা হয় তবে এখানে ৪টি তারকে মূল তার বলা হয় আর ৩টি তারকো বলা হয় সহযোগী তার। সহযোগী তারকে আবার অন্য নামেও ডাকা হয়, সে নামটি হলো চিকারি। বীণার আরেকটি নাম হলো সপ্ততার যুক্ত বাদ্যযন্ত্র।
বীণার তার সমার্থক শব্দ
বীণার তার সমার্থক শব্দ হলো দেবী স্বরস্বতীর হাতের বাদ্যযন্ত্র বিশেষ, সপ্ততার যুক্ত বাদ্যযন্ত্র।
বীণা বাদ্যযন্ত্র
প্রাচীন কাল হতে বীণা সংগীতশিল্পীেদের কাছে প্রয়োজনীয় ও উপকারী একটি বাদ্যযন্ত্র। তবে বীণার ব্যবহার ততটাও দেখা যায় না আমাদের দেশে। ভারতীয় উপমহাদেশে বীণা বাদ্যযন্ত্রটি প্রাচীন কাল হতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি বাদ্যযন্ত্র৷ পৃথিবীর মধ্যে একমাএ ভারত উপমহাদেশে বীণা বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার সর্বাধিক হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: আহসান মঞ্জিল কে নির্মাণ করেন, কেন বিখ্যাত?
বীণা জাতীয় বাদ্যযন্ত্র অর্থ
বীণা জাতীয় বাদ্যযন্ত্র অর্থ হলো মানুষের গলার স্বরের সাথে মিশে মানুষের গলার স্বরের নিখুঁত একটি সংগীৎ পরিবেশন করে আর তখন গন্ধর্ব সংগীতের উৎস হয় গলা ও ও বাদ্যযন্ত্র হয় বীণা।
বিচিত্র বীণা
বিচিত্র বীণা বিনার একটি একটি রূপ। আবার বিচিত্র বীণাকে প্রাচীন একতন্ত্রী বীণার আধুনিক রূপ বলে অবহিত করা হয়। আয়তনের দিক দিয়ে বিচার করলে লম্বায় প্রায় তিন ফুট লম্বা ও চওড়ার ৬ ইঞ্চি চওড়া হয়ে থাকে। এই বীণাটির ব্যবহার ভারতীয় উপমহাদেশের বেশি দেখা যায় ।
তানপুরার কয়টি তার থাকে
তানপুরায় ৪টি তার থাকে।
শেষ কথা
আশা করি আমরা আপনাকে বীণার তার সম্পর্কে ও বীণা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিতে পেরেছি। আপনার যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।